আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
রাশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম পর্ব শুরম্ন হচ্ছে আজ। এবারের নির্বাচনী দৌড়ে সাত প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন ভস্নাদিমির পুতিন। কমিউনিস্ট পার্টির পাভেল গ্রম্নডিনিন, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভস্নাদিমির জিরিনোভস্কিকে এবং একমাত্র নারী প্রার্থী নাগরিক উদ্যোগ দলের কেসেনিইয়া সাবচাক, রাশিয়ান অল-পিপল ইউনিয়নের সেরগেই বাবুরিন, ইয়াবলোকো পার্টির গ্রিগোরি ইয়াভিলিনস্কি, পার্টি অব গ্রোথের বরিস তিতোভ ও রাশিয়ার সমাজতন্ত্র পার্টির মাক্সিম সুরাইকিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে নির্বাচনী দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ভস্নাদিমির পুতিন। এমনটাই উঠে এসেছে ভিটিএসআইওএম পরিচালিত এক জনমত জরিপে। সংবাদসূত্র : বিবিসি, সূত্র, এনডিটিভি, এক্সপ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ায় মোট ভোটার প্রায় ১০৯ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ৯০ লাখ। সারা দেশে ভোটকেন্দ্র আছে ৯৪ হাজার ৫০০টি। নির্বাচন উপলক্ষে রাশিয়ার বাইরে থাকা ১৮ লাখ ভোটারের জন্য বিদেশের মাটিতে ৩৬৯টি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনের প্রথম পর্বে যদি কোনো প্রার্থী অর্ধেকের বেশি ভোট পেতে ব্যর্থ হন, তবেই দ্বিতীয় মেয়াদে আবারো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রম্নশ আইন অনুযায়ী, প্রথম পর্ব নির্বাচনের ঠিক তিন সপ্তাহ পর হবে দ্বিতীয় পর্বের নির্বাচন। নির্বাচনে সাত প্রতিদ্বন্দ্বির মধ্যে এগিয়ে রয়েছেন ভস্নাদিমির পুতিন। তার জনপ্রিয়তা এখনো তুঙ্গে। ২০০০ সালের পর থেকে পুতিন অনেকটা পুরো রম্নশ শাসন ব্যবস্থার সমার্থক হয়ে উঠেছেন। এই সময়ের পর থেকে রাশিয়ায় নির্বাচনে আর জয়-পরাজয় নিয়ে ভাবা হয় না। সম্প্রতি এক জনমত জরিপে উঠে এসেছে, দেশটির ৮০ শতাংশের বেশি নাগরিক মনে করেন, বর্তমান প্রেসিডেন্ট পুতিন আবারো নির্বাচিত হয়ে চতুর্থবারের মতো দেশটির ক্ষমতায় আসছেন। অন্যদিকে, ক্রিমিয়ার জনগণও এবারই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ক্রিমিয়া দ্বীপবাসীর পূর্ণ সমর্থন পাবেন পুতিন। ভিটিএসআইওএমের জরিপে দেখা গেছে, ৮১.১ ভাগ মানুষের সমর্থন পুতিনের দিকে। যার কারণে পুতিনকেই ধরে নেয়া হচ্ছে রাশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে। রাশিয়া সরকার মালিকানাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ভিটিএসআইওএম’ পরিচালিত এক জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বিশেস্নষণে বলা হয়েছে, পুতিন পুরো রম্নশ শাসন ব্যবস্থার সমার্থক হয়ে উঠেছেন। অনেকই পুতিন বাদে অন্য কোনো নেতাকে সেখানে কল্পনাও করতে পারেন না। প্রায় ২০ বছর ধরে রাশিয়ার রাজনীতির প্রধান হয়ে আছেন পুতিন। মস্কোভিত্তিক রাজনৈতিক বিশেস্নষক ইয়েন্স সিগার্ট ডয়েচে ভেলেকে বলেন, পুতিন রাশিয়ার রাজনীতিকে এমনভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছেন যে, কোনো বিরোধী পক্ষ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারেনি।
এছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার ভেঙে পড়া অর্থনীতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে পুতিনের আমলে। যদিও পুতিনের অর্থনৈতিক নীতির কারণে সেটি হয়েছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেননা বিশেস্নষকরা বলছেন, রাশিয়া প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর একটি দেশ। ফলে একসময় দেশটি এমনিতেই উন্নতি করতে পারত। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তার পক্ষে গেছে। সেটিই তার ক্ষমতার ভিত্তি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮মার্চ২০১৮/ইকবাল